বেলে বাড়ে বল! কতটা যৌক্তিক?

বেল অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং উপকারী ফল। কাচা পাকা দুটোই সমান উপকারী, পাশাপাশি বেল পাতার কার্যকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। শীতের শেষ এবং গরমের শুরুতে আবহাওয়ার যে ব্যাপক পরিবর্তন তা শরীরে অনেক প্রভাব ফেলে। এই সময়েই প্রকৃতি আমাদের এই ফলটি উপহার দিয়ে থাকে। বেলের শক্ত খোলসের ভেতর থাকা নরম মজ্জা বা শাঁস সরাসরি খাওয়া যায় […]

Continue Reading

|| উচ্চরক্তচাপের ভীতি আর নয়||

পৃথিবীতে শুরু থেকে শুরু করে আজ প্রযন্ত যতগুলো রোগ আবিষ্কৃত হয়েছে সেই সকল রোগকে পিছনে ফেলে এগিয়ে আছে উচ্চরক্তচাপ নামের এক জটিল ধরনের রোগ। এই রোগটি শরীরে হয়ে শুধু যে এই রোগের দ্বারা ক্ষতি সাধন করছে তা নয়, বরং এই রোগ শরীরে হয়ে সৃষ্টি করছে ডায়াবেটিস, হৃদরোগসহ আরও অনেক অনেক ধরনের জটিল রোগ কোন একজন রোগীর  ডায়াবেটিস সহ বিভিন্ন জটিল রোগ আছে অথচ উচ্চরক্তচাপ নেই তা যেন এক আকাশ  কুসুম কল্পনা।কিন্তু কি এই উচ্চরক্তচাপ আর কেনই বা আমরা এই রোগের রোগী হচ্ছি তা সম্পর্কে সকলের ই জানা দরকার। উচ্চরক্তচাপঃ সাধারণত রক্ত হৃদপিন্ডের সংকোচন  প্রসারণের কারণে রক্তনালির ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সময় রক্তনালির গাত্রে যে চাপ প্রদান করে তাকেই উচ্চরক্তচাপ বলে। সাধারনভাবে, যদি কোনও একজনের হৃদ-সংকোচন বা সিস্টোলিক রক্ত চাপ উভয় বাহুতে ১৪০ মি.মি পারদ অথবা উপরে থাকে (চাপের একটি একক) কিংবা হৃদ-প্রসারণ বা ডায়াস্টলিক চাপ ৯০ মি.মি পারদ অথবা উপরে থাকে,তাহলে তার উচ্চ রক্ত চাপ বলা যেতে পারে।   উচ্চরক্তচাপের কারনঃ কিডনিজনিত রোগঃ সৃষ্ট কারনজনিত উচ্চরক্তচাপের প্রায় ৭৫% কিডনিজনিত রোগে তৈরি।গ্লোমেরুলোনেফ্রাইটিস,  পলিআর্টেরাইসিস নভোসা, পলিস্টিটিক কিডনি ডিজিস ইত্যাদি কারনে উচ্চরক্তচাপ হয়। এছাড়াও, সাধারণত মানুষের ৪০ বছরের পর থেকে উচ্চ রক্তচাপ হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে থাকে যদি অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা পরিবারে কারও উচ্চ রক্তচাপ থাকলে নিয়মিত ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রম না করলে,মানসিক চাপে থাকলে প্রতিদিন ছয় গ্রাম অথবা এক চা চামচের বেশি লবণ খেলে ধূমপান বা মদ্যপান বা অতিরিক্ত ক্যাফেইন জাতীয় খাদ্য/পানীয় খেলে দীর্ঘদিন ধরে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলে। উচ্চরক্তচাপের লক্ষনঃ উচ্চ রক্তচাপের একেবারে সুনির্দিষ্ট কোন লক্ষণ সেভাবে প্রকাশ পায় না। তবে সাধারণ কিছু লক্ষণের মধ্যে রয়েছে:    প্রচণ্ড মাথা ব্যথা করা, মাথা গরম হয়ে যাওয়া এবং মাথা ঘোরানো ·  ঘাড় ব্যথা করা ·  বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া ·  অল্পতেই রেগে যাওয়া বা অস্থির হয়ে শরীর কাঁপতে থাকা ·  রাতে ভালো ঘুম না হওয়া ·   অনেক সময় জ্ঞান হারিয়ে ফেলা অন্যান্য অঙ্গে জটিলতাঃ উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না থাকলে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি অঙ্গে জটিলতা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ থেকে হৃদযন্ত্রের পেশি দুর্বল হয়ে যেতে পারে এবং এর ফলে দুর্বল হৃদযন্ত্র রক্ত পাম্প করতে না পেরে ব্যক্তির হৃতপিণ্ড কাজ বন্ধ করতে পারে বা হার্ট ফেল করতে পারে।এছাড়া, এমন সময় রক্তনালীর দেয়াল সঙ্কুচিত হয়ে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনাও থাকে।উচ্চ রক্তচাপের কারণে কিডনি নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, মস্তিষ্কে স্ট্রোক বা রক্তক্ষরণও হতে পারে। এরকম ক্ষেত্রে রোগীর মৃত্যুর সম্ভাবনা থাকে। চিকিৎসাঃ এমলোডিপিন ( Amlodipin ) একটি ডাই হাইড্রোপাইরিডিন ক্যালসিয়াম বিরোধী ঔষধ, যার দীর্ঘস্থায়ী কার্যকারীতা রয়েছে। এর সাথে আবার অন্য ঔষধের সংমিশ্রন করেও বাজারজাত করা হয়। যেমন – এমলোডিপিন ও এটিনোলল / এমলোডিপিন ও ওলমেসারটান / এমোডিপিন ও বিসোপ্রোলল ইত্যাদি লোসারটেন পটাশিয়ামঃ সকল প্রকার উচ্চরক্তচাপে ব্যবহার করা যায়। ২৫/৫০/১০০ মিগ্রা এর হয়ে থাকে,  সাধারণত রাতে ১টি  করে খেলেই হয়। জীবনযাপনে পরিবর্তন আর নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। এজন্য কয়েকটি বিষয়ে মনোযোগী হতে হবে: খাবারে লবণের পরিমাণ কমিয়ে দেয়া  ধূমপান ও মদ্যপান পরিহার করা ওজন নিয়ন্ত্রণ করা নিয়মিত ব্যায়াম বা কায়িক পরিশ্রম করা মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তা কম করা মাংস, মাখন বা তেলে ভাজা খাবার, অতিরিক্ত […]

Continue Reading

আসলেই কি পান্তা ভাতের পুষ্টিগুন রয়েছে? চলুন জেনে নেওয়া যাক

বাঙালির ঐতিহ্যের সাথে মিশে থাকা এই খাবারটি সচারাচর খাওয়া না হলেও পহেলা বৈশাখে পান্তা-ইলিশ এখন না হলেই নয়। বাংলা প্রবাদে আছে,” পান্তা ভাতের জল, তিন পুরুষের বল”। আসলেই কি পান্তা ভাতের পুষ্টিগুন রয়েছে? চলুন জেনে নেওয়া যাক। রান্না করা ভাত সাধারনত ৮-১২ ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখার মাধ্যমে গাঁজন প্রক্রিয়ায় সহজ পাচ্য পান্তা ভাতে পরিনত হয়। […]

Continue Reading

স্ট্রোক সাধারণত বাথরুমেই বেশি হয় কেন?

স্ট্রোক সাধারণত বাথরুমেই বেশি হয়ে থাকে কারণ,বাথরুমে ঢুকে গোসল করার সময় আমরা প্রথমেই মাথা এবং চুল ভেজাই যা একদম উচিৎ নয়।এটি একটি ভুল পদ্ধতি।এইভাবে প্রথমেই মাথায় পানি দিলে রক্ত দ্রুত মাথায় উঠে যায় এবং কৈশিক ও ধমনী একসাথে ছিঁড়ে যেতে পারে।ফলস্বরূপ ঘটে স্ট্রোক অতঃপর মাটিতে পড়ে যাওয়া। স্ট্রোক বা মিনি স্ট্রোকের কারণে যে ধরনের ঝুঁকির […]

Continue Reading

ওষুধ সেবনের ক্ষেত্রে ডোসেজ রেজিমেন এর গুরুত্ব

আপনি কি জানেন চিকিৎসক আপনাকে যে ওষুধ প্রেসক্রাইব করেন তার ডোসেজ রেজিমেন (যেমন, দিনে ৩ বার সেবন করতে হবে) বলতে কি বোঝায় কিংবা এরকম ভাবে কেন বলা হয়? আর এটি যথাযথভাবে মেনে না চললে কোনো রোগীর ক্ষেত্রে কি কি সমস্যা দেখা দিতে পারে?  ফার্মেসির পরিভাষায় কোনো একটি ওষুধের (যেমন : প্যারাসিটামল) ডোসেজ রেজিমেন বলতে বোঝায় […]

Continue Reading

বিষন্নতা আত্মহত্যার উদ্দীপক(ডিপ্রেশন সুইসাইডাল ট্রিগার)

আত্মহত্যা এখন আমাদের দেশে মারাত্মক ব্যাধি হয়ে দাড়িয়েছে।প্রায়ই  আত্মহত্যার খবর আমাদের কানে ভেসে আসে। এই আত্মহত্যার তালিকায় পাওয়া যায় বিভিন্ন বয়সের এবং বিভিন্ন পেশার মানুষের নাম।  তরুণদের সংগঠন আঁচল ফাউন্ডেশনের এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে গেল এক বছরে করোনাকালে দেশে  আত্মহত্যা  করেছে ১৪ হাজার ৪৩৬ জন নারী –পুরুষ। এতে রয়েছে স্কুল, কলেজ,ভার্সিটি থেকে শুরু করে মেডিকেলের […]

Continue Reading

ডায়াবেটিস নিয়ে যতো কথা

 “ডায়াবেটিস” শব্দটি সাম্প্রতিক সময়ে যতই না পরিচিত ডাক্তারদের কাছে তার থেকে বেশি পরিচিত সাধারণ মানুষের কাছে। উচ্চ রক্তচাপ হোক বা হৃদপিণ্ডের সমস্যা, ডাক্তারদের প্রথম প্রশ্ন “ ডায়াবেটিস আছে?” এমনকি সাধারণ মানুষের কাছে এই রোগটা এতই পরিচিত যে, সামান্য অজ্ঞান হলেই ধারনা করে ফেলে তার ডায়াবেটিস আছে। এবং তারা এই ধারনা পোষন করে যে, চিনি বেশি […]

Continue Reading

ডেঙ্গু জ্বরে হার্টের রোগীদের করণীয়,আমরা সবাই সচেতন হই আতঙ্কিত না হয়ে!

ডেঙ্গু জ্বরে অনেক মানুষ মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ছে। যা অত্যন্ত স্পর্শকাতর এবংউদ্বেগজনক। ডেঙ্গু ভাইরাস কেবলমাত্র এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়। আমরাএর জীবনচক্র পরিষ্কার করে জানি। একটি ক্ষুদ্র গন্ডির ভেতর এর চলাফেরা। অতএব এর জীবনচক্র রুখে দেয়া বা ভেঙ্গে দেয়া মোটেই কঠিন না। এডিস মশা পরিষ্কার পানিতে জন্মলাভ এবং বংশবিস্তার করে। সাধারণত অভিজাত এলাকায় পরিচ্ছন্ন পরিবেশ এদের […]

Continue Reading

কোভিড ১৯ ভ্যাক্সিন: মহামারী মোকাবেলায় মুখ্য হাতিয়ার।

 ভ্যাক্সিন কি? আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা দেহে অনুপ্রবেশকৃত বিভিন্ন অ্যান্টিজেন (যেমন: ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ) ধ্বংস করার জন্য এক ধরণের দ্রবণীয় গ্লাইকোপ্রোটিন  তৈরি করে যা অ্যান্টিবডি নামে পরিচিত। মানুষের দেহে প্রায় ১০কোটি ধরণের অ্যান্টিবডি তৈরি উৎপন্ন হতে পারে। এদের প্রতিটি একটি অপরটি থেকে ভিন্ন এবং একেকটি ধরণ কেবল মাত্র একটি নির্দিষ্ট গোত্রের ভাইরাস বা ব্যাক্টেরিয়ার […]

Continue Reading

আন্টিবায়োটিক থেকে রেজিসট্যান্স : বিপদে..বন্ধু যখন নীরব দর্শক।

                                                                                               একথা অনিস্বীকার্য যে,১৯২৮ সালে যখন আলেকজন্ডার ফ্লেমিং প্রথম আন্টিবায়োটিক আবিষ্কার করেন সেটা ছিল চিকিৎসা বিজ্ঞানের জন্য এক মাইলফলক।যাইহোক,১৯৪১ সালে প্রথম আন্টিবায়োটিক পেনিসিলিন ব্যাবহার করা হয়।যার মাত্র এক বছরের মধ্যেই পেনিসিলিন রেজিসট্যান্স ব্যাকটেরিয়া শনাক্ত করা হয়।আর তখন থেকেই শুরু হয় আন্টিবায়োটিক ব্যাবহারের এক জটিল অধ্যায়। আন্টিবায়োটিক : আন্টিবায়োটিক হলো এক ধরনের ঔষধ যা ব্যাকটেরিয়া ঘটিত […]

Continue Reading