কোল্ড ড্রিংকস বা কোমল পানীয়ঃ একটি নিরব ঘাতক!
কোল্ড ড্রিংকস প্রচন্ড গরমে,বন্ধুদের আড্ডায়,রেস্টুরেন্টের রিচ ফুডের সাথে,যেকোনো আনন্দ অনুষ্ঠানে কিংবা অতিথি আপ্যায়নে কোল্ড ড্রিংকসের ব্যবহার রীতিতে পরিণত হয়েছে।অনেকে আবার বদহজম থেকে মুক্তি পেতে কিংবা এসিডিটি থেকে মুক্তি পেতে কোল্ড ড্রিংকস পান করে থাকে যা সত্যিকার অর্থে কোনো কাজেই আসে না। কোল্ড ড্রিংকের মধ্যে ফসফরিক অ্যাসিড, ক্যাফেইন, কার্বন-ডাই-অক্সাইড, সিন্থেটিক চিনি-সহ নানা ধরনের রাসায়নিক উপাদানের মিশ্রণ থাকে। থাকে সোডাও তাই অনেকে মনে করেন খাওয়ার পর কোল্ড ড্রিংক খেলে খাবার ভালো হজম হয়। কিন্তু এই কৃত্রিম পানীয় সাময়িক শরীরকে স্বস্তি দিলেও প্রকৃতপক্ষে পাকস্থলীর ভারসাম্য নষ্ট করে। কোল্ড ড্রিংক আমাদের যেইসকল শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি করেঃ ১.ওজন বাড়ে চিনি আছে এমন পানীয়তে থাকে প্রচুর ক্যালোরি। কোল্ড ড্রিঙ্ক, টেট্রাপ্যাকে বিক্রি হওয়া ফসের রস পান করেন যাঁরা, দ্রুত গতিতে ওজন বাড়িয়ে ফেলতে পারেন অল্প দিনের মধ্যেই। এতে ওবিসিটি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যেতে পারেন ৬০ শতাংশ। ২. টাইপ টু ডায়াবেটিস ডায়াবেটিস একটি লাইফস্টাইল অসুখ। জীবন যাত্রা ঠিক মতো না হলে এই অসুখ হতে পারে। যাঁরা অতিরিক্তি চিনি মেশানো পানীয় খান, ডায়াবেটিসকে সহজেই ডেকে আনেন শরীরে। আর এই অসুখ ধীরে ধীরে শেষ করে দিতে পারে আপনাকে। তাই একে বলা হয় সাইলেন্ট কিলারও। ৩. নেই কোনও গুণ চিনিতে নেই কোনও গুণ, কেবল খাবারের স্বাদ বৃদ্ধি করে। নেই মিনারেল, ভিটামিন বা ফাইবার। তাই এই ধরনের পানীয়ও আপনার শরীরের বাড়তি কোনও উপকার করে না। ৪. হার্টের অসুখঅতিরিক্ত চিনি খেলে শরীরের যত্ন বিকল হতে শুরু করে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় হৃদযন্ত্র। বিদেশে একটি গবেষণা হয়। সেখানে ৪০,০০০ মানুষের উপর একটি পরীক্ষা করা হয়। দেখা যায়, যাঁরা নিয়মিত কোল্ড ড্রিঙ্ক পান করেন, তাঁদের হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা ২০% বেশি। ৫.কর্মক্ষমতা হ্রাসঃ কোল্ডড্রিংকে উপাদান হিসেবে থাকে সোডিয়াম বেঞ্জোয়েট। যা ধীরে ধীরে আমাদের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়। এমনকী DNA-এর গঠনগত পরিবর্তনও ঘটে। ৬.দাঁতের ক্ষয় ও অকাল বার্ধক্যঃ কোল্ড ড্রিংক্সে অতিরিক্ত চিনি থাকার কারনে অকাল বার্ধক্য দেখা দেয় ও দাঁতের এনামেল ক্ষয় হয়ে যায়। ৭. তরুণ প্রজন্মের প্রজনন ক্ষমতা হ্রাসঃ গবেষকরা প্রমাণ করে দেখিয়েছেন, কোমল পানীয়তে ব্যবহৃত উচ্চ মাত্রার ক্যাফেইন, সোডা, চিনি অথবা ঘন চিনি সহ অন্যান্য রাসায়নিক উপাদান প্রজনন স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি সাধন করছে। গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে- অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণ করলে গর্ভবতী মহিলাদের মিসক্যারেজের ঝুঁকি বেড়ে যায়। […]
Continue Reading