আমাদের অনেকের মধ্যেই এমন একটা বদ্ধমূল ধারনা রয়েছে যে আমরা ওষুধ খেলেই সুস্থ হয়ে যাব সেটা যেভাবেই খাই না কেন, একভাবে খেলেই হল– আসলে ধারনাটি ঠিক নয়। ওষুধ সঠিক নিয়মের ব্যতিক্রমে খেলে শুধু যে অসুস্থতার প্রতিকার হবে না তা-ই নয়, বরং এটি হতে পারে মারাত্মক অসুস্থতার ও ভবিষ্যতে ঝুঁকির কারণ।
জ্বর, মাথাব্যথা, গ্যাস্ট্রিক, অ্যালার্জি কিংবা হাঁচি-কাশির জন্য প্রায়ই আমরা কিছু ওটিসি ড্রাগ (প্যারাসিটামল, এনটিহিস্টামিন ইত্যাদি) সেবন করি যা কিনা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য একটা ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ নিয়মিত অপরিকল্পিতভাবে এগুলো সেবন করলে পরবর্তীতে অনেক জটিল সমস্যাকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে তা কি আমরা চিন্তা করে দেখেছি?
কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যা কিনা কম বেশি আমরা সকলেই করে থাকিঃ
- অন্যের কথা শুনে ওষুধ খাওয়া ( এমন একজন যে কিনা ওষুধ বা তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে কিছুই জানেনা), উদাহরণস্বরূপঃ আপনি এবং আপনার বন্ধু উভয়ের ডায়াবেটিস আছে বলেই যে দুজনে একি ওষুধ খেতে পারবেন এমনটা নাও হতে পারে। ডাক্তার আপনাদের উভয়ের বয়স, ওজন, শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে তবেই ওষুধ দেবেন। সুতরাং একে অপরকে ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
- নিজের মনেই ওষুধ খাওয়া, যেমনঃ কিছু মেয়েরা মাসিকের ব্যাথার জন্য ইচ্ছামতো ব্যাথানাশক সেবন করে থাকে যা ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া নিয়মিত খাওয়া কোনভাবেই যুক্তিযুক্ত নয়।
- ডাক্তার যেভাবে ওষুধটি খেতে বলেছেন সেভাবে না খাওয়া, যেমন- কিছু ওষুধ খাওয়ার আগে খেতে বলা হয় এগুলোর পর্যাপ্ত কার্যকারিতার সুবিধার্থে (অমিপ্রাজল, ইসমিপ্রাজল ইত্যাদি)। আবার কিছু ওষুধ ভরা পেটে খাওয়া বাঞ্ছনীয় (যেমন- এনটিবায়টিক)। তাই এই ওষুধগুলো নিজের মন মতো, ভরা পেট বা খালি পেটের কথা মাথায় না রেখে খাওয়া হলে কখনোই এদের পূর্ণ কার্যকারিতা আশা করা যায় না।
- বেশি বা কম মাত্রায় ওষুধ খাওয়াঃ যে ওষুধ যাকে যে মাত্রায় ডাক্তার দেবেন তার ব্যতিক্রম করে নিজের ইচ্ছামতো খেলেও ঘটতে পারে বিপত্তি।
- ওষুধ সম্পর্কে পুরোপুরি না জেনে একাধিক ওষুধ একসাথে খাওয়াঃ অনেক সময় একাধিক অসুস্থতার জন্য একাধিক ওষুধ ডাক্তার দিয়ে থাকেন। ভালমতো না জেনেই সবগুলো ওষুধ একসাথে খেলেও মারাত্মক বিপদ ঘটতে পারে ( ড্রাগ-ড্রাগ ইন্টারেকশন)। উদাহরণস্বরূপঃ মিসপ্রসটল গ্যাস্ট্রিক আলসারে ব্যবহৃত একটি ওষুধ, যা যদি অজ্ঞতাবশত মিফেপ্রিসটনের সাথে নেয়া হয় তাহলে গর্ভপাত ঘটার তীব্র আশংকা রয়েছে।
- গর্ভাবস্থায় অনিয়ন্ত্রত ওষুধ সেবনঃ গর্ভাবস্থায় যেকোন ওষুধ সেবনের আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া বাঞ্ছনীয়, নাহয় গর্ভপাতসহ বিভিন্ন কনজেনিটাল কমপ্লিকেশন দেখা দিতে পারে।
- নিয়মিতভাবে ওটিসি ড্রাগ সেবন করাঃ ওটিসি ড্রাগগুলো যেহেতু প্রেসক্রিপশন ছাড়াই বিক্রয়যোগ্য কাজেই এগুলো কমবেশি সকলেই সেবন করে থাকি। এগুলোর মাত্রাতিরিক্ত সেবন পরবর্তীতে ডেকে আনতে পারে – রেনাল ফেইলিওর, হেপাটিক ইমপেয়ারমেন্ট এর মতো ক্রনিক জটিল ব্যাধি।
- যে খাবারগুলি ওষুধের সাথে খাওয়া যাবেনা জেনেও সেগুলো খাওয়াঃ কিছু খাবার কিছু ওষুধের কার্যকারিতাকে ব্যহত করে (,ড্রাগ- ফুড ইন্টারেকশন)। তাই ঐ খাবারগুলো ঐ ওষুধ সেবন চলাকালীন ওষুধের সাথে না খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। যেমন- আয়রন ট্যাবলেট এর সাথে চা- কফি না খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। চা-কফি মূত্রের মাধ্যমে দ্রুত আয়রনকে শরীর থেকে বের করে দেয়, ফলে আয়রন এর কার্যকারিতা হ্রাস পায়।
তাহলে আমরা বুঝতেই পারছি যে ওষুধ খেলেই সুস্থ হয়ে যাব ব্যপারটা তেমন নয়। ওষুধ খাওয়ার ক্ষেত্রে অজ্ঞতা কিংবা অসচেতনতা ডেকে আনতে পারে ভয়াবহ বিপদ। তাই আমরা সুস্থতার লক্ষেই ওষুধ সঠিক নিয়মে খাবো এবং ওষুধ খেয়ে অসুস্থতার ঝুঁকি আর বাড়াবো না।
সূত্র ঃ বিডি নিউস২৪
লিখেছেন:
Soylee Mostafa
Department of Pharmacy (4th year 1st semester), University of Asia Pacific
A very informative and helpful article. Hope we will get such valuable informations from you on a regular basis.
The article is very informative and well written. Everyone needs to be aware of this facts as people are ignoring the post covid situations.
আমরা সবাই ই ঔষধ খাওয়ার ব্যাপারে খুবই অসচেতন। আশা করি মানুষজন ঔষধের ব্যাপারে একটু সচেতন হবে এই আর্টিকেল টা পড়লে। রেগুলার ঔষধের example দেওয়া হয়েছে দেখে খুব ভালো লাগলো।
আমি নিজেই কিছু হলেই গ্যাসের ঔষধ বা প্যারসিটামল জাতীয় ঔষধ সেবন করি। এই ব্যাপারে সচেতন হওয়া জরুরী। এখানে ব্যাখ্যা গুলো ভালো দিয়েছেন।
Thanks for the information. Really helpful❤️
The article is very informative and well written. Everyone needs to be aware of this facts as people are ignoring the post covid situations.
Wonderful Insight!
Thanks for helping with these information ❤
Thanks for the information . Ata onek helpful ❤️❤️
Very important information…. Everybody should know this….Thanks for this writing
আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে নিয়মিত করা এসব ছোটো ছোটো ভুল, যেগুলোর ভবিষ্যৎ পরিণতি হতে পারে মারাত্মক, তা গুছিয়ে তুলে ধরার জন্য অনেক ধন্যবাদ। এ ধরনের সচেতনতামূলক আরো লেখা আশা করি।
It is very important and useful for us .. Thanks for letting us know..
Thanks for the important information ❤️