সাম্প্রতিক সময়ে করোনা মহামারী পর বর্তমানে চোখ উঠা রোগটি খুবই দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে করোনা সংক্রমণের ফলে মানবদেহের ইমিউনিটি সিস্টেম দূর্বল হয়ে পড়ায় এটি বিশাল জনগোষ্ঠীর মাঝে খুব অল্প সময়ে ছড়িয়ে যাচ্ছে।
“চোখ উঠা”একটি ভাইরাস জনিত রোগ। প্রচলিত ভাষায় ” চোখ উঠা” বলতে চোখ লাল হওয়াকে বুঝায়।বিভিন্ন কারনে চোখ লাল হতে পারে, যেমন -জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হলে, হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাসজনিত কারণে, স্কেলেরার ইনফেকশন জনিত কারণে, ইউভিয়াল টিস্যু ইনফেকশন জনিত কারণ ইত্যাদি। তবে মূলত হারপেম সিমপ্লেক্স ভাইরাস জনিত একটি ইনফেকশন। এ ধরনের ইনফেকশন সাধারণত এক চোখে আক্রান্ত হয়ে থাকে।
জীবাণু যেভাবে ছড়ায় :
চোখে ভাইরাস দিয়ে যদি প্রদাহ হয় তাহলে চোখের পানিতে ভাইরাস ভেসে বেড়ায়। যখন আমরা চোখ থেকে নিঃসৃত অশ্রু হাত দিয়ে মুছে ফেলি তখন ভাইরাসটি আমাদের হাতে থেকে যায় যা পরবর্তীতে সংস্পর্শের মাধ্যমে বিশাল বিস্তার লাভ করে। এজন্য এসময় ব্যাবহৃত জিনিসপত্র গুলো আলাদা করে রাখা ভালো।
চোখ উঠার লক্ষন ও উপসর্গ :
১.চোখের সাদা অংশটি লাল হয়ে যাওয়া।
২.চোখ দিয়ে পানি পড়া।
৩.চোখের পাতা ফুলে যাওয়া।
৪.চোখে হলুদ, সাদা রঙের ময়লা জমা।
৫.ঘুম থেকে উঠার পর চোখের দুইপাতা একসঙ্গে লেগে থাকা।
৬.হালকা মাথাব্যথাসহ জ্বর আসা।
চিকিৎসা :
১.হালকা গরম পানি দিয়ে চোখ পরিষ্কার করা।
২.কালে চশমা পড়া।
৩.ভিটামিন যুক্ত খাবার খাওয়া।
৪.পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা।
প্রতিকার :
১.চোখ ওঠা খুবই ছোঁয়াছে রোগ তাই একে অপরের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা।
২.চোখে বেশি বেশি হাত না দেওয়া।
৩.বার বার সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করা।
৪.এলার্জিযুক্ত খাবার থেকে দূরে থাকা ইত্যাদি।
হাসিবুল হাসান
ফার্মেসী ৬ষ্ঠ ব্যাচ
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,টাঙ্গাইল।
Ref: agami24.com
প্রথম আলো