heart

রোজায় হৃদরোগীদের করণীয়

প্রাথমিক চিকিৎসা রোগব্যাধি স্বাস্থ্য টিপস

হৃদরোগের মতো জটিল রোগে আক্রান্ত হলে খাদ্যাভাস, ওষুধ এবং সর্বোপরি জীবনযাত্রায় ব্যাপক পরিবর্তন আনতে হয়। সতর্কতা অবলম্বন না করলে সেটা ভয়ঙ্কর পরিণতি বয়ে আনতে পারে। কিন্তু হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হলেই রোজা রাখা যাবে না এমনটি নয়। যাদের হৃদরোগে নিয়ন্ত্রণ নেই বিশেষ করে হার্ট ফেইলিওরের জন্য শ্বাসকষ্ট হয় অথবা গত তিন মাসের মধ্যে হার্ট অ্যাটাক হয়েছে তাদের জন্য রোজা রাখা ঝুঁকিপূর্ণ। যেসব রোগীর পেসমেকার বা ভাল্ব প্রতিস্থাপন করা আছে অথবা বাইপাস অপারেশন বা এনজিওপ্লাস্টি করা আছে তারাও রোজা রাখতে পারবেন। তবে বাইপাস অপারেশন বা এনজিওপ্লাস্টি করার পর প্রথম তিন মাস রোজা রাখা কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ। যদি রক্তচাপ ও হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণে থাকে, তাহলে কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চললেই সুস্থভাবে রোজা পালন করা সম্ভব।
কীভাবে? চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক –

খাবার: চর্বিজাতীয় এবং অতিরিক্ত লবণ দেওয়া খাবার পরিহার করতে হবে। একসঙ্গে অনেক খাবার না খেয়ে অল্প করে বারবার খাওয়া যেতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে ভারী খাবার দাবারের পর হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। রাতের বেলা অবশ্যই প্রয়োজনমতো পানি এবং তরল খাবার খেতে হবে। রোজার সময়ে দিনের বেলা রক্তচাপ বেশি কমে যেতে পারে এবং শরীরে লবণের পরিমাণ কমে যেতে পারে। এই পরিস্থিতিতে অবশ্যই পানি বা তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

ওষুধ: রোজার সময় ওষুধগুলো চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ইফতার এবং সেহরির সময় খাওয়া যেতে পারে। ডাইইউরেটিক বা শরীরের পানি কমার ওষুধ ইফতারের সময় গ্রহণ করা ভালো। তবে রোজায় এ ধরনের ওষুধের পরিমাণ কমাতেও হতে পারে। ওষুধের যেকোনো পরিবর্তনে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করবেন।

ব্যায়াম: শারীরিক ব্যায়াম দিনের বেলায় না করে রাতে করার চেষ্টা করুন। খাবার পরপরই ব্যায়াম করবেন না। রোজার সময় ত্রিশ মিনিট হাঁটাই ভালো ব্যায়াম।

রোজার সময় যেকোনো জটিলতায় বিলম্ব না করে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

লেখকঃ মাহবুবা হোসেন জেরিন।
২য় বর্ষ-১ম সেমিস্টার,
৭ম ব্যাচ, ফার্মেসী বিভাগ, মাভাবিপ্রবি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *