বিভিন্ন গবেষনায় দেখা গেছে যে,মহিলাদের তুলনায় পুরুষেরা হৃদরোগে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে।কখনো কি ভেবে দেখেছেন ঠিক কি কারণে এমনটি হয়??
বিশেষজ্ঞদের মতে,পুরুষের অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা যেমন – ধুমপান, মদ্যপানের অভ্যাস,অতিরিক্ত রাগের কারণে তারা বেশি মানসিক চাপ অনুভব করেন যা তাঁদের হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
পুরুষেরা সাধারণত মহিলাদের তুলনায় বেশি খেয়ে থাকে,যার কারণে স্থুলতার প্রবণারও বেশি। এ কারণে, রক্তে প্লাক জমা হয়,ধমনীর কাজ বাধাপ্রাপ্ত হয়,যা হৃদরেগের ঝুঁকি অনেকাংশে বাড়িয়ে দেয়।
এছাড়াও, হরমোনজনিত কিছু কারণ রয়েছে।, মূলত হরমোনের প্রভাবেই পুরুষদের তুলনামূলকভাবে হৃদরোগে (হার্ট অ্যাটাক) ঝুঁকি বেশি। মহিলাদের শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোন থাকে, যা খারাপ কোলেস্টেরল কমায় এবং ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়। অর্থাৎ, ইস্ট্রোজেন মহিলাদের শরীরে কোলেস্টেরলের ভারসাম্য বজায় রাখে। যত বয়স পর্যন্ত মহিলাদের ঋতুস্রাব হয়, ততদিন পর্যন্ত ইস্ট্রোজেন-সহ এমন আরও কিছু হরমোন নির্গত হয় যা তাঁদের শরীরের কোলেস্টেরলের ভারসাম্য বজায় রাখে, হৃদরোগের (হার্ট অ্যাটাক) ঝুঁকি কমায়।সাধারণত ৪০ বছর বয়সের পর মহিলারা যখন তাদের মেনোপজে পৌঁছায় তখন তাদের হৃদরোগে ঝুঁকি বাড়তে থাকে।
পুরুষের হৃদরোগের ঝুঁকি কমানোর উপায়ঃ
১) ধূমপান বন্ধ করতে হবে।
২) মদ্যপান বন্ধ করতে হবে।
৩) পরিমিত ঘুমের প্রয়োজন।
৪) নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে।
৫) ডায়েট মেনে খাবার খেতে হবে।
৬) অনিয়মিত লাইফস্টাইল চলবে না।
এই নিয়মগুলা মেনে চললে পুরুষদের পাশাপাশি মহিলারাও হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারে।
লেখকঃ সিনজানা সিদ্দিকা
সেশনঃ ২০১৭-২০১৮
বিভাগঃ ফার্মেসী