বেল অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং উপকারী ফল। কাচা পাকা দুটোই সমান উপকারী, পাশাপাশি বেল পাতার কার্যকারিতা বলে শেষ করা যাবে না।
শীতের শেষ এবং গরমের শুরুতে আবহাওয়ার যে ব্যাপক পরিবর্তন তা শরীরে অনেক প্রভাব ফেলে। এই সময়েই প্রকৃতি আমাদের এই ফলটি উপহার দিয়ে থাকে।
বেলের শক্ত খোলসের ভেতর থাকা নরম মজ্জা বা শাঁস সরাসরি খাওয়া যায় বা তা দিয়ে শরবত তৈরি করা যায়।
পুষ্টি উপাদান : বেলে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ,ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও পটাশিয়াম। এছাড়াও রয়েছে পানি, শর্করা, প্রোটিন, ক্যারোটিন, থায়ামিন, নিয়াসিন সহ প্রয়োজনীয় উপাদান। এতে প্রচুর আঁশ বা ফাইবার থাকে।
উপকারিতা :
১. বেলের শরবত হজমশক্তি বাড়ায় এবং তা বলবর্ধক।
২. আধাপাকা সিদ্ধ বেল কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং আমাশয়ে অধিক কার্যকরী।
৩. এতে রয়েছে অ্যান্টি প্রলিফারেটিভ ও অ্যান্টি মুটাজেন উপাদান। যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক।
৪. ডায়াবেটিস ও ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে পাকা বেল অত্যন্ত কার্যকরী।
৫. বেলের পাতার রস মধু ও গোল মরিচের সঙ্গে মিশিয়ে পান করলে জন্ডিস নিরাময় হয়, পাশাপাশি চোখের ছানি ও জ্বালা উপশম হয়।
৬. শিশুদের স্মরণশক্তি বাড়ানোর জন্য বেল এবং বেল পাতা অত্যন্ত উপকারী।
৭. কচি বেল টুকরা করে কেটে রোদে শুকিয়ে নিলে তাকে বেল শুট বলে। এর সাথে পরিমাণমতো বার্লি মিশিয়ে রান্না করে খেলে আলসার সেরে যায়।
সর্বোপরি ১০০ গ্রাম বেলে রয়েছে ১৪০ ক্যালরি শক্তি। যা শক্তি বাড়াতে বলবর্ধক হিসেবে কাজ করে। এটি মেটাবলিক হার বাড়িয়ে দেয় এবং শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।