Breast Cancer এর ঝুঁকিগুলো কী এবং কীভাবে সেগুলো এড়িয়ে চলা যায়?

রোগব্যাধি

Breast Cancer একটি ঘাতক ব্যাধি। নারীদের জন্য এটি এক আতঙ্কের নাম। পুরুষের চেয়ে নারীদের এ ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি শতভাগ বেশি। আর নারীরা তাদের নিজেদের এই গোপন অঙ্গের রোগগুলো সহজে কারও কাছে বলতে চান না। ফলে তারা প্রতিনিয়তই Breast Cancer এর মতো জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
স্তন ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বিশ্বে প্রতি আটজনের মধ্যে একজন নারী স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন।
বাংলাদেশে প্রতি বছর ১৫ হাজার নারী স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। আর মারা যান আট হাজারের মতো। আমাদের দেশে ৪০ বছরের পর নারীদের স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়তে থাকে।

Breast Cancer এর ঝুঁকিতে কারা বেশি থাকেন?
যাদের Breast Cancer এ আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি-

১.Breast Cancer এর পারিবারিক ইতিহাস থাকলে।
২.বয়স যত বাড়ে, ঝুঁকিও তত বাড়তে থাকে। বেশিরভাগ স্তন ক্যান্সারই ৫০ বছরের পর হয়ে থাকে।
৩. প্রথম গর্ভধারণ ৩০ বছর বয়সের পর হলে।
৪.শিশুকে বুকের দুধ দিতে অনীহা বা অপারগতা (যেমন চাকরিজীবী নারীরা এ সমস্যায় ভোগেন বেশি),
৫. ওজন বেশি থাকলে।
৬. দীর্ঘদিন ধরে জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য পিল বা বড়ি খাওয়া।
৭. অত্যধিক চর্বিযুক্ত, ফাস্ট ফুড এর খাদ্যাভ্যাস।
৮. শারীরিক পরিশ্রম না করা।
৯. ধূমপান, মদ্যপান,অ্যালকোহল এবং তামাকজাতীয় দ্রব্যে আসক্ত থাকা।
১০. দীর্ঘদিন তেজস্ক্রিয় পদার্থের সংস্পর্শে থাকা।
১১. ১২ বছর বয়সের আগেই পিরিয়ড হওয়া এবং ৫৫ বছর বয়সের পরে মেনোপজ বা রজঃনিবৃতি হওয়া।
১২. চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া বিভিন্ন হরমোন গ্রহণ করলে।
১৩.রেডিয়েশন থেরাপির মাধ্যমে অন্য কোনো রোগের চিকিৎসা নিয়ে থাকলে।

একটু সচেতন থাকলেই এই ব্যাধিকে প্রতিরোধ করা সম্ভব। ঝুঁকিতে থাকা সবাই নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার মাধ্যমে খুব সহজে ঝুঁকি এড়িয়ে চলতে পারেন। ৩৫ বছরের ওপরের নারীরা ম্যারেনাগ্রাফিক স্ক্রিনিং করে এ থেকে পরিত্রান পেতে পারেন। ২০ বছর বয়স থেকেই নিজে নিজে স্তন পরীক্ষা করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

Breast Cancer এর ঝুঁকিমুক্ত থাকতে করণীয় –
১. যদি আপনার পারিবারিক ইতিহাসে এই ক্যান্সার কারো হয়ে থাকে কিংবা বিশেষ জিনের মিউটেশন ইতিহাস থাকলে চিকিৎসককে জানানো।
২. তাজা ফল ও ফ্ল্যাভনয়েডযুক্ত শাকসবজি, বেগুন, টমেটো, গোলমরিচ, আপেল, ব্রকলি ইত্যাদি স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
৩. অত্যধিক ফাস্ট ফুড ও চর্বিযুক্ত খাদ্যাভ্যাস বর্জন করা।
৪. সন্তানকে স্তন্য পান করানো।
৫. নিয়মিত শরীরচর্চা করা।
৬. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা।
৭. জন্মবিরতিকরণ বড়ি খাওয়ার আগে এবং হরমোন থেরাপি নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া।
৮. অত্যাধিক অ্যালকোহল ও ধুমপান না করা।
৯. চিকিৎসকের পরামর্শমতো নিয়মিত Breast Cancer এর স্ক্রিনিং করলে! এর ফলে আগেই রোগ নির্ণয় করা যায় এবং ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়।

তথ্য সূত্র-
www.jugantor.com

samakal.com 

corona.gov.bd

লেখকঃ তাসমিন জাহান সারা
বিভাগঃ ফার্মেসী
সেশনঃ ২০১৭-১৮

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *