সাধারণ রোগ ব্যাধি:
জ্বর, সর্দিকাশি:
কিছু বিশেষ টোটকা চিকিৎসা: সাধারণত জ্বর সর্দি কাশি হলে কিছু ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করা হয়। যেমন: তুলসী বা বাসক পাতার রস খাওয়ানো হয় রোগীকে। এছাড়া কালোজিরা ও মধু ও সমান কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এছাড়া বিভিন্ন এন্টিবায়োটিক যেমন ট্যাবলেট ও সিরাপ খাওয়ানো হয় রোগীকে।
কোভিড-১৯:COVID-19 আক্রান্ত মানুষেরা বিস্তৃত সীমার উপসর্গের কথা জানিয়েছেন, অনুগ্র উপসর্গ থেকে গুরুতর অসুস্থতা পর্যন্ত যা ব্যপ্ত। কিছু মানুষের কোনো উপসর্গ থাকে করোনাভাইরাস এমন একটি সংক্রামক ভাইরাস – যা এর আগে কখনো মানুষের মধ্যে ছড়ায়নি।এই ভাইরাসে বিশ্বব্যাপী প্রাণহানির সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১৮ লাখ। বিশ্বব্যাপী শনাক্তের সংখ্যা সাড়ে ৮ কোটির বেশি। (তথ্য আপডেট করা হয়েছে ৪ঠা জানুয়ারি ২০২১)
ভাইরাসটির আরেক নাম ২০১৯ – এনসিওভি বা নভেল করোনাভাইরাস। এটি এক ধরণের করোনাভাইরাস।
রোগের লক্ষণ: রেসপিরেটরি লক্ষণ ছাড়াও জ্বর, কাশি, শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যাই মূলত প্রধান লক্ষণ। এটি ফুসফুসে আক্রমণ করে। সাধারণত শুষ্ক কাশি ও জ্বরের মাধ্যমেই শুরু হয় উপসর্গ, পরে শ্বাস প্রশ্বাসে সমস্যা দেখা দেয়। সাধারণত রোগের উপসর্গগুলো প্রকাশ পেতে গড়ে পাঁচ দিন সময় নেয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ভাইরাসটির ইনকিউবেশন পিরিয়ড ১৪দিন পর্যন্ত স্থায়ী থাকে। তবে কিছু কিছু গবেষকের মতে এর স্থায়িত্ব ২৪ দিন পর্যন্ত থাকতে পারে। মানুষের মধ্যে যখন ভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেবে তখন বেশি মানুষকে সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকবে তাদের। তবে এমন ধারণাও করা হচ্ছে যে নিজেরা অসুস্থ না থাকার সময়ও সুস্থ মানুষের দেহে ভাইরাস সংক্রমিত করতে পারে মানুষ।
COVID-19 টি ভ্যাকসিন আমাদের দেহগুলি ভাইরাস প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে যা আমাদের অসুস্থতা না করেই COVID-19 এর কারণ করে। বিভিন্ন ধরণের ভ্যাকসিন বিভিন্ন উপায়ে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য কাজ করে তবে সমস্ত ধরণের ভ্যাকসিনের সাহায্যে দেহকে “মেমরি” টি-লিম্ফোসাইটের পাশাপাশি বি-লিম্ফোসাইটস সরবরাহ করা হয় যা কীভাবে ভবিষ্যতে সেই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে তা মনে রাখবে। ফাইবার,মডানা ইত্যাদি নানাবিধ ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে পৃথিবীব্যাপী মানুষদের (www.bbc.com)
ডায়াবেটিস:শরীরে ইনসুলিন নামের হরমোনের অভাব ঘটলে, ইনসুলিনের কাজের ক্ষমতা কমে গেলে অথবা উভয়ের মিলিত প্রভাবে রক্তে যদি শর্করার পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যায় তখন তাকে ডায়াবেটিস বলে।
লক্ষণ স্বরূপ:
ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া এবং পিপাসা লাগা,ক্ষুধা বেড়ে যাওয়া, ক্লান্তি ও অবসাদগ্রস্ত ভাব,মাত্রাতিরিক্ত ওজন হ্রাস, উচ্চ রক্তচাপ
এর চিকিৎসাকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়। একটি হচ্ছে খাদ্য নিয়ন্ত্রণ, দুই ব্যায়াম এবং তিন ওষুধ। যাঁরা প্রাথমিক পর্যায়ে আছেন, তাঁদের খাদ্য নিয়ন্ত্রণ এবং ব্যায়াম করলে এই রোগ ভালো হয়ে যেতে পারে। আর ব্যায়ামের মধ্যে রয়েছে দ্রুত হাঁটা। অন্তত ১৫০ মিনিট প্রতি সপ্তাহে হাঁটতে হবে। সেটি ২০ মিনিট করে প্রতিদিন বা ৩০ মিনিট করে পাঁচ দিন হতে পারে। তবে একদিনের বেশি বন্ধ করা যাবে না।মেট্রোমিন-জাতীয় ওষুধ এখন বেশ কার্যকর। এ ধরনের ওষুধ ইনসুলিন রেজিসটেন্স পূরণ (কাভার) করে এবং লিভার থেকে গ্লুকোজ তৈরি হওয়া বন্ধ করে। এই ওষুধগুলো পথিকৃৎ বলে বিবেচিত হয়। তা ছাড়া আরো কিছু ওষুধ আছে, যাকে বলা হয় ইনক্রেটিনস। এই জাতীয় ওষুধ ইনক্রেটিন মায়ামিন নামে বাজারে আসছে। এগুলোও বেশ কার্যকরী ওষুধ। তা ছাড়া বিভিন্ন ধরনের ইনসুলিন এখন বাজারে আছে। তবে অনেকের ধারণা, ইনসুলিন নেওয়া শুরু করলে অভ্যাসে পরিণত হয়ে যাবে, এটি ঠিক নয়। কোন রোগীর জন্য কোন ইনসুলিন দিতে হবে, সেটি চিকিৎসক ঠিক করবেন (www.ntvbd.com)
ক্যানসার:ক্যান্সার বা কর্কটরোগ অনিয়ন্ত্রিত কোষ বিভাজন সংক্রান্ত রোগসমূহের সমষ্টি। এখনও পর্যন্ত এই রোগে মৃত্যুর হার অনেক বেশি। কারণ প্রাথমিক অবস্থায় ক্যান্সার রোগ সহজে ধরা পড়ে না, ফলে শেষ পর্যায়ে গিয়ে ভালো কোন চিকিৎসা দেয়াও সম্ভব হয় না। বাস্তবিক অর্থে এখনও পর্যন্ত ক্যান্সারের চিকিৎসায় পুরোপুরি কার্যকর কোনও ওষুধ আবিষ্কৃত হয় নি। ক্যান্সার সারানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়। তবে প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পরলে এই রোগ সারানোর সম্ভাবনা অনেকাংশ বেড়ে যায়।
লক্ষণ:আকস্মিক ওজন হ্রাস : কোনো কারণ ছাড়া হঠাৎ করেই দ্রুতগতিতে যদি ওজন হারাতে থাকেন, তবে ভাবনার কারণ আছে। অনেক ক্যান্সারই সাধারণত হুট করে ওজন কমিয়ে ফেলে। দীর্ঘদিনের ব্যথা,অস্বাভাবিক মাংসপিণ্ড, ত্বকের পরিবর্তন,অকারণে রক্তক্ষরণ,খাবার গ্রহণে সমস্যা।
জরায়ুর ক্যান্সার, ব্রেস্ট, প্রোস্টেট এবং কোলন ক্যান্সার রোগীদের অতিরিক্ত চর্বিবহুল খাদ্য পরিহার করা দরকার। এ ছাড়াও অতিরিক্ত ক্যালরিবহুল খাদ্য গ্রহণ গলব্লাডার ও এন্ড্রমেট্রিয়াম ক্যান্সারের জন্য ক্ষতিকর। বেশকিছু খাদ্য আছে যা ক্যান্সার প্রতিরোধী যেমন- আঁশযুক্ত খাবার কোলোরেক্টাল ক্যান্সার প্রতিহত করে।(bn.m.wikipedia.org)
স্বাস্থ্য বিষয়ক কিছু সাধারণ টোটকা বা চিকিৎসা:
১.গর্ভকালীন সময়ে নারীদের রক্তস্বল্পতার হার বেড়ে যায় অর্থাৎ রক্তের লৌহের অভাব জনিত সমস্যা প্রকট হয়ে ওঠে। এ কারণে তাদের আয়রন ট্যাবলেট খেতে বলা হয়। এছাড়া লৌহযুক্ত খাবার বেশি খেতে বলা হয়। যেমন: ডালিম ,বিট, লাল শাক, কচু শাক। এছাড়া কবুতর বিশেষ করে ছোট কবুতরের মাংসে ও হাড়ে প্রচুর পরিমাণে লৌহ সঞ্চিত অবস্থায় থাকে। যা কিনা গর্ভাবস্থায় নিয়মিত খাবার তালিকায় রাখলে ভালো ফলাফল পাওয়া যেতে পারে।
২.কথিত আছে যে, পেটের রোগে বিশেষ করে ডায়রিয়া, আমাশয় হলে থানকুনি পাতার রস বিশেষ কাজে দেয়। এটা ফলপ্রসূ।
৩.যে কোনো ক্ষত, ঘা নিরাময় করতে হলুদ, ঘৃতকুমারী ঔষধ বা মলম এর মতই কাজ করে।
৪.কালোজিরাকে মৃত্যু ছাড়া সকল রোগের মহৌষধ বলা হয়। এটি ঠাণ্ডা জ্বর, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অনেক সহায়তা করে। তাই সুস্থ থাকার জন্য নিয়মিত কালোজিরা খাওয়া উচিত।
৫.সুস্থ সবল থাকার জন্য দৈনন্দিন জীবনে নিয়মমাফিক পানি পান করা উচিত। কারণ পানি বিপাক ক্রিয়ায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।