।।গ্যাস্ট্রিক এর আদ্যোপান্তঃ কি, কেন, প্রতিকার, প্রতিরোধ।।

প্রাথমিক চিকিৎসা রোগব্যাধি স্বাস্থ্য টিপস

⛔ গ্যাস্ট্রিক সমস্যা!!

কমবেশি সবাই আমারা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার সঙ্গে পরিচিত। বর্তমানে এটি একটি বহুল পরিচিত সমস্যাগুলোর মধ্যে একটি। খাবারে সামান্য একটু অনিয়ম হলেই শুরু হতে পারে গ্যাস্ট্রিকের মারাত্মক সমস্যা । অনেক সময় অতিরিক্ত অনিয়মে এই সাধারণ গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাই সৃষ্টি করে আলসার।এমনকি হতে পারে ক্যান্সারও।

⛔ গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সার : গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সার হল এক ধরণের ক্যান্সার যা পেটে উত্থিত হয় এবং পেটে অস্বাভাবিক ম্যালিগন্যান্ট ভর বা টিউমার বৃদ্ধি করে। যদি চিকিৎসা না করা হয় তবে ক্যান্সার পেটের আস্তরণের মাধ্যমে বা রক্ত প্রবাহের মাধ্যমে আশেপাশের অঙ্গগুলিতে ছড়িয়ে পড়তে পারে ।সাধারণত নারীদের তুলনায় পুরুষদের মধ্যে দ্বিগুণ দেখা দেয় এটি।

⛔গ্যাস্ট্রিকের ক্যান্সারের কারণ :

ধূমপান

অতিরিক্ত লবনাক্ত খাবার

ক্যানের আচার

অতিরিক্ত মশলাযুক্ত খাবার

কমপরিমানে পানি পান

রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণ করা খাবার খাওয়া

স্মোকড ফুড এছাড়াও বংশগতভাবেও এটি হতে পারে

গ্যাস্ট্রিকের ক্যান্সারের লক্ষণ :

•ক্লান্তি

•বুকে ব্যাথা

•অল্প খেলেই পেট ফুলে যাওয়া

•দীর্ঘসময় না খেয়ে থাকার পরে ক্ষুধা না লাগা

•বদহজম

•পেট ব্যথা সঙ্গে অম্বল

•বমি বমি ভাব

•ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য

•অকারণে ওজন হ্রাস

•রক্তাক্ত বা কালো মল

প্রতিরোধের উপায় :

১. প্রতিদিন স্বাস্থ্যেসম্মত খাবার খেতে হবে

২. দেহের চাহিদা অনুযায়ী পর্যন্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে

৩.ধূমপান সম্পূর্ণভাবে পরিহার করতে হবে

৪.বেশি মশলাযুক্ত খাবার খাওয়া যাবে না,, পাশাপাশি ফাস্টফুড পরিহার করতে হবে

৫. ভিটামিন সি, এ, ই ও ফাইবার জাতীয় খাবার বেশি করে খেতে হবে৷ ডায়েটে বেশি করে রাখা প্রয়োজন অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট তথা টক ফল।

৬. রাতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ঘুমাতে হবে এবং সকালে তাড়াতাড়ি উঠতে হবে।

⛔ কিছু ঘরোয়া উপায় যা আমারদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অনেকটাই দূর করবে ফলে এই সমস্যা আর ক্যান্সার অবধি যাবে না –

দারুচিনি দারুচিনি যা হজমশক্তি বাড়ায় ও প্রাকৃতিক এনটাসিড হিসাবে কাজ করে থাকে এবং পেটের গ্যাস দূর করতে সাহায্য করে।

রসুন গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করার জন্য রসুন খুবই কার্যকরী উপাদান। রসুন, কালো মরিচ বীজ, ধনে বীজ এবং জিরা বীজ একসাথে মিশ্রিত করে কয়েক মিনিট উত্তাপে ফুটিয়ে সিদ্ধ করতে হবে , সিদ্ধ করার পর এই মিশ্রন থেকে যে নির্যাস বের হবে সেটা ছেঁকে আলাদা করতে হবে। তারপর সাধারণ তাপমাত্রায় এই নির্যাস ঠান্ডা করে দৈনিক দুই বার পান করতে হবে।

প্রচুর পরিমাণে পানি পান প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। এটি শুধু আপনার গ্যাস্টিকের সমস্যা কমাবে না আরো অনেক রোগের হাত থেকে মুক্তি দেবে। প্রতিদিন কমপক্ষে ছয় থেকে আট গ্লাস পানি পান করার চেষ্টা করুন।

পুদিনা পাতা পুদিনা পাতা আপনার অম্লতা, গ্যাস ও বমি বমি ভাব থেকে সাথে সাথে মুক্তি দেবে। গ্যাস্টিকের ব্যথা যখন অল্প তখন থেকে অল্প কিছু পুদিনা পাতা মুখে নিয়ে ভাল করে চিবুতে থাকুন। দেখবেন কিছুক্ষণের মধ্যে আপনার ব্যাথা অনেকটা কমে গেছে।

আদা পেটে গ্যাসের সমস্যা দূর করার জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। এটি বদ হজমও দূর করে থাকে। প্রতিদিন খাবার পর এক টুকরা আদা চিবিয়ে খেলে পেটে আর গ্যাসের সমস্যা হবে না।

লবঙ্গ অম্লতা উপশম এবং গ্যাস দূর করতে সাহায্য করে। লবঙ্গ গ্যাসের সমস্যা দূর করার সাথে সাথে আপনার নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধও দুর করে থাকে।

তাসনিম আক্তার

৩য় বর্ষ-১ম সেমিস্টার,

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *