১.বার্ধক্য মোকাবেলায় হাটাহাটি
আপনি কি জানেন যে মাত্র ৩০ মিনিট করে সপ্তাহে ৩-৪ বার হাটাহাটি করা বার্ধক্য মোকাবেলায় যথেষ্ট?
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকদের মতে,মানবদেহের শারীরিক অবনতির অন্যতম প্রধান কারণ হলো কোষের গ্লুকোজ বিপাক করার ক্ষমতা কমে যাওয়া।তারা আরো দেখিয়েছেন যে অবসর সময়ে কিছু সময় হাঁটাহাঁটি ও ব্যায়াম করলে কোষের গ্লুকোজ বিপাক করার ক্ষমতা কয়েকগুন বেড়ে যায়। আপনি কি সারাদিন আপনার অফিসের ডেস্কে বসে কাটান নাকি কম্পিউটারের পর্দার সামনে বসে থাকেন?যদি তাই হয় তাহলে মাঝে মাঝে উঠে কয়েক মিনিট শারীরিক ব্যায়াম করুন।অন্য লোকেরা কী ভাবছে তা নিয়ে চিন্তা করবেন না। কিছু জাপানিজ কোম্পানিতে দেখা যায় ওখানকার কর্মীদের একটি যৌথ অভ্যাস রয়েছে।সেখানে প্রতি বিশ মিনিট পরপর একটি বেল বাজে এবং সবাই উঠে যায়।তারপর তারা কিছু ব্যায়াম করে আবার যার যার আসনে বসে পড়ে।জাপানি ম্যানেজাররা নিশ্চিত যে এরকম করার কারনে তাদের কর্মীরা আগের তুলনায় আরও বেশি কর্মদক্ষ হয়ে উঠে।
২.ঘুমন্ত অবস্থায়ও হৃৎপিণ্ডের যত্ন
আপনি সাধারণত কোন অবস্থানে ঘুমান?
আপনার যদি পেটের উপর ভর দিয়ে অথবা বাম দিকে কাত হয়ে ঘুমানোর অভ্যাস থাকে তাহলে তা দ্রুত পরিত্যাগ করুন।কারন এভাবে ঘুমানোর কারনে আপনার হার্টের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে ফলে হার্টের রক্ত পাম্পিং বাধাগ্রস্ত হয়।ফলে হার্টের কার্যক্ষমতা ধীরে ধীরে হ্রাস পায়। আপনি কি জানেন যে মানুষ তার জীবনের এক তৃতীয়াংশ সময় ঘুমিয়ে কাটায়!তাই আপনি যদি ডান কাত হয়ে অথবা চিৎ হয়ে ঘুমানোর অভ্যাস করতে পারেন তাহলে আপনার আয়ু বেড়ে যাবে আরো কয়েক বছর।
৩.শরীরের ওজন কমাতে পাকিস্তানি পদ্ধতি
পাকিস্তানি মহিলারা শরীরের ওজন কমাতে এবং স্লিম থাকতে একটি চমৎকার কৌশল ব্যাবহার করে থাকেন।তারা স্থায়ীভাবে তাদের দুই হাতের মাংসপেশি/বাহু মোটা রাবার ব্যান্ডের দুই-তৃতীয়াংশ দিয়ে এবং কব্জি ও কনুইয়ের মধ্যস্থল রাবারের বাকি এক- তৃতীয়াংশ দিয়ে কিছুটা টাইট করে পেচিয়ে রাখেন।ড.ড্রুপাসের মতে,এভাবে বাঁধার ফলে হাতের মাংসপেশির নার্ভে একটা ধ্রুব,মৃদু চাপ পরে।এই চাপের কারনে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণকারী গ্রন্থিগুলো(যেমন:থাইরয়েড,সুপ্রাএরেনালস গ্রন্থি) ক্রমাগত উদ্দীপনা পেতে থাকে এবং দ্রুত ওজন নিয়ন্ত্রণ করে।
৪.ঔষধ ছাড়াই করুন ডায়রিয়ার চিকিৎসা
ডায়রিয়ার প্রথম দিন কোনো ধরনের ভারী খাদ্য খাবেন না।প্রথম দিন আপনি ফলের জুস,ভেজিটেবল স্যুপ,মাংসের স্যুপ,পাতলা জাউ,পাতলা খিচুড়ি,আপেল জ্যুস,চা এবং বেশি পরিমানে পানি পান করুন। এগুলো আপনার পানিশুন্যতা রোধ করবে। যদি আপনার পেটে ব্যাথা হয় অথবা পেট কামড়ায়(Muscle cramps) তাহলে আপনি পুরো ১ মিনিট দুই হাতের তালু একসাথে ঘষুন তারপর হাত দুটো পেটের উপর রাখুন।এই প্রক্রিয়াটি ৩-৪ বার করলে পেট ব্যাথা কমে যাবে অনেকটাই। দ্বিতীয় দিন আপনি ভাত,নরম সিদ্ধ ডিম,বিস্কুট ইত্যাদি খেতে পারেন তবে তেল চর্বিযুক্ত,ভাজা পোড়া খাবার খাবেননা। ডায়রিয়া প্রতিকারে আদার রস খুব কার্যকরি।এক টেবিল চামচ আদার রসের সাথে কিছু কুসুম গরম পানি এবং মধু মিশিয়ে খেলে ডায়রিয়া ভালো হবে দ্রুত।
৫.আর নয় পিরিয়ডের ব্যাথা
প্রত্যেক মেয়েদেরকেই জীবনের একটা লম্বা সময় পিরিয়ডের ব্যাথা সহ্য করতে হয়।কখনো কখনো এই ব্যাথা তীব্র আকার ধারন করে।তাই পিরিয়ডের ব্যাথার তীব্রতা কমাতে মেনে চলতে পারেন কিছু টিপস:
১.ডায়েটে চিনির পরিমাণ কম রাখুন এবং প্রোটিনের পরিমাণ বেশি রখুন।
২. খাবারে বেগুন,শষা,লতা জাতীয় শাকসবজি রাখুন।এগুলো স্রাবের পরিমান বাড়ায় এবং
ব্যাথা কমায়।
৩.ক্যালসিয়াম সাপলিমেন্টস (প্রতিদিন ১ গ্রাম) এবং ম্যাগনেসিয়াম (৫০০ মি.গ্রা),ভিটামিন বি-৬(৫০ মি.গ্রা)প্রতিদিন সেবন করুন । এগুলো আপনার উদ্বেগ,দুশ্চিন্তা দুর করতে সাহায্য করবে।
৪.ভিটামিন বি এবং সি পিরিয়ড ব্যাথা কমাতে সাহায্য করে।
লিখেছেনঃ
Anisur Rahman Shanto
DVM-Doctor of Veterinary medicine (3rd Year)
Sylhet Agricultural University
Reference :
“PRACTICAL HEALTH GUIDES”