এটি রিডিং ডিজর্ডার (Reading disorder) নামেও পরিচিত। ডিসলেক্সিয়া একটি দীর্ঘস্থায়ী স্নায়বিক বিকার। এটি একটি জন্মগত সমস্যা । এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি স্বাভাবিক বুদ্ধিমত্তার অধিকারী হয়েও কোন কিছু পড়তে বা বানান করতে সাধারণত অক্ষম হয়। এ ধরনের রোগীদের শিখতে সমস্যা বা দেরি হয়। তার মানে এই নয় যে তারা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী বা বোকা।
তবে এই সমস্যাটি একেক শিশুর ক্ষেত্রে একেক রকমের হতে পারে। কারও ভাষা শিখতে দেরি হতে পারে, কারও বা লিখতে-পড়তে কিংবা বুঝতে দেরি হতে পারে। কোনো শিশুর সবগুলো আবার কারও মধ্যে যেকোনো একটি সমস্যাই দেখা দিতে পারে।
কারণঃ
1. জেনেটিক বা বংশগতঃ যদি কারও এই সমস্যা থাকে সেক্ষেত্রে তার সন্তানের মধ্যেও অনেকসময় দেখা দিতে পারে ।
2. ব্রেনের left hemisphere বা যে অংশটি ভাষা শেখার বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করে সেখানে কোনো কারণে আঘাত পেলে।
3. মাতৃগর্ভে থাকাকালীন সময়ে ব্রেনের সঠিক বিকাশ না হলে।
লক্ষণঃ
• অন্য শিশুদের তুলনায় নতুন কিছু শিখতে দেরি হওয়া
• ধীরে পড়ার গতি ও পড়ার সময় বেশি ভুল করা
• উচ্চারণে সমস্যা
• একই রকম অক্ষর চিহ্নিত করতে সমস্যা
• অন্যদের তুলনায় দেরিতে পড়তে ও লিখতে শেখা।
• মনোযোগের অভাবজনিত সমস্যা
• বিচার বিশ্লেষণ করে সমস্যার সমাধান করার দক্ষতা কম থাকে
যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য সেবা সংস্থা এনএইচএস বলেছে, ডিসলেক্সিয়া একটি শিশুর বেড়ে ওঠার বিভিন্ন পর্যায়ে প্রকাশ পেতে পারে। তবে প্রাথমিক স্কুলে এটি বেশি চোখে পড়ে কারণ তখনই কেবল একটি শিশু নতুন কিছু শিখতে শুরু করে।
Dyslexia আক্রান্ত রোগীদের প্রতি করনীয়ঃ
যেহেতু এ রোগের এখনও কোনো সঠিক চিকিৎসা আবিষ্কার হয় নি তাই তাদের প্রতি আমাদের কিছু করনীয় থেকে যায়। যেমন-
শিশুদের সবসময় ভালো গুণগুলো বিকাশে উৎসাহিত করতে হবে।
তারা যাতে হীনমন্যতায় না ভুগে সে দিকে সবসময় নজর দিতে হবে।
অনুপ্রেরণা দিয়ে সবসময় তাদের পাশে থাকতে হবে। এবং পড়াশোনার জন্য খুব বেশি চাপ দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
রেফারেন্সঃ
2.https://www.nhs.uk/conditions/dyslexia/
3. Wikipedia
তাসনিম আক্তার
ডিপার্টমেন্টঃ ফার্মেসি
সেশনঃ২০১৮-১৯